সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৬ মে: রাজমিস্ত্রির পর এবার দুই টোটো চালকের সঙ্গে সংসার ছেড়ে পালাল একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার আন্দুলপোঁতা ও সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বৃদ্ধা শ্বশুর শিবুপদ পাল গৃহবধূদের বাড়িতে ফিরে আসার আবেদন জানিয়ে বাগদা থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত টোটো চালকদের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল এবং শিবু মজুমদার। শিবুর সিন্দ্রানি বাজারে একটি চালের দোকান রয়েছে। এরা সিন্দ্রানি এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, টোটোয় যাতায়াতের সূত্রেই কয়েক বছর আগে পাল বাড়ির মেজ ও ছোট বউ মিঠু পাল ও পবিত্রা পালের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। ধীরে ধীরে গভীর প্রেম তৈরি হয় তাদের মধ্যে। কিন্তু পরিবারের লোকেরা সেসব আঁচও করতে পারেননি। বৃদ্ধ শ্বশুর শিবু পাল বলেন, বড় ছেলে পরিবার নিয়ে বাইরে থাকে৷ ছোট ছেলে পুণেতে একটি নির্মাণ সংস্থায় কাজ করে৷ মেজো ও ছোট ছেলের বউ ও নাতিদের নিয়ে তাঁর সংসার। মেজো ছেলের বছর ২২ আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে। ছোট বউয়ের বিয়ে হয় ১০ বছর আগে। তার একটি ৫ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে ননদের বাড়ি যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল দুই বউ। ছোট বউ আবার ছেলেকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা আর ফিরে আসেনি। পরে দেখা যায়, সোনার গয়না ও বেশ কিছু টাকাপয়সাও নিয়ে গিয়েছে। ভিন রাজ্যে বসে দুই ছেলের কানে সেই খবর পৌঁছতেই তারা স্ত্রীদের সংসারে ফিরিয়ে আনার জন্য বাবার কাছে অনুরোধ জানান। এরপরই শ্বশুর শিবপদ পাল স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সৌমেন ঘোষ জানিয়েছেন, ”দুই বউয়ের বৃদ্ধ শ্বশুরমশাই এসে বিস্তারিত জানান। আমি বললাম, থানায় যান। ওই বউরা যদি ফিরে আসে, তাহলে মেনে নেবে পরিবার।”
অন্যদিকে, টোটোচালক বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও শিবু মজুমদারের নিজস্ব সংসার ও একটি করে কন্যাসন্তান রয়েছে। দুই বন্ধুর এহেন কাণ্ডে ক্ষুব্ধ তাদের স্ত্রীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাগদা থানার পুলিশ।