আমাদের ভারত, ২৬ মে: ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ নিয়ে সিবিআইয়ের প্রাক্তন এডিজি তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ড. উপেন বিশ্বাসের একটি ফেসবুক মন্তব্যকে ঘিরে আলোড়ণ উঠেছে। পোস্ট করার এক ঘন্টার মধ্যে, বেলা ১২টা ২০ মিনিটে এসেছে ৪৯টি প্রতিক্রিয়া।
নাম-ঠিকানা দিয়ে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার’ শীর্ষক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমরা সবাই জানি ক্ষমতা মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে এবং সম্পূর্ণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত করে। তেমনি দাম্ভিক-ক্ষমতাসীন মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহার করে। তবে এটাও ঠিক ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি তার পতন ডেকে আনবেই। সে তিনি রাজা হন বা প্রজা হন।”
বুধবার আট ঘন্টা ধরে সিবিআই জেরা করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এর আগে তাঁকে সিবিআই তিন ঘন্টা জেরা করেছিল। শনিবার তৃতীয় বারের জন্য সিবিআইয়ের মুখোমুখি হন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ। মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরির জন্য মন্ত্রী হিসেবে পরেশ প্রভাব খাটিয়েছেন কি না, কাকে ফোন করেছেন, কার কার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, সে সব তথ্য জানতে চায় সিবিআই। পরেশ ও পার্থকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও খবর সিবিআইয়ের একটি সূত্রের দাবি। সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের সম্পত্তিও। সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিন্হা-সহ ওই কমিটির সদস্যদের আয়কর রিটার্ন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি দেখতে চেয়েছে সিবিআই। পাশাপাশি, শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে নতুন একটি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
প্রত্যাশিত ভাবেই, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণের ভাষা আরও ধারালো করেছে প্রধান বিরোধীদল বিজেপি। পথে নেমেছে সিপিএম এবং কংগ্রেসও। শনিবার কাঁথির সভা থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদের তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পর উপেনবাবুর এই পোস্ট ইঙ্গিতবহ বলে মনে করছেন অনেকে।